নাটোরে ১৫ প্রাণহানির ঘটনায় বাসচালক রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
নাটোর আদালতে চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক শামীম হোসেন (ডানে)। মধ্যে বাসের সহকারী আবদুস সামাদ কমল। তিনি দুর্ঘটনার সময়ই আহত হয়েছিলেন। ছবি : এনটিভি

নাটোরের লালপুরে সড়ক দর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক শামীম হোসেনকে একদিনের দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুলতান মাহমুদ এ আদেশ দেন। এ সময় ওই বাসের সহকারী আবদুস সামাদ কমলের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাসচালক ও সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম।

গত ২৫ আগস্ট চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। লালপুর উপজেলায় গেলে বাসটি পেছন থেকে যাত্রীবাহী একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুসহ লেগুনার ১০ যাত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়। এরপর নাটোর জেলা হাসপাতালে আরো দুজনের মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর থেকেই চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসচালক শামীম হোসেন গা-ঢাকা দেন। পরে তাঁকে বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীর হাতে তুলে দেন বগুড়া মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তার একদিন আগে গ্রেপ্তার হন বাসচালকের সহকারী আব্দুস সামাদ কমল।

পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিন  দুপুরে কমিটির প্রধান নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান এই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রতিবেদনটিতে ওই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিক, চালক, লেগুনার চালক ও দুটি যানবাহনের অতিরিক্ত গতিকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১২ দফা সুপারিশ করা হয়।