আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্যপদ বৈধ
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদ বাতিলে রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঋণখেলাপির অভিযোগে সংসদ সদস্যপদ বাতিলে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি এবং আ স ম ফিরোজের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিট আবেদন খারিজ করা হয়েছে, এতে করে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বৈধ থাকল।’
বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্যপদ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আ স ম ফিরোজ, নির্বাচন কমিশন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ নয় বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের পরিচালক আ স ম ফিরোজ। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ ২০০৯ সাল থেকে খেলাপি হিসেবে আছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) (এম) অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে খেলাপি ঋণের তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে হয়। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পর ২৭ নভেম্বর তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে এবং ঋণ পুনর্বিন্যাস করা হয়। নির্ধারিত সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ করেননি। এতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আ স ম ফিরোজ পাঁচবার পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।