‘এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞায় পড়ে না’

Looks like you've blocked notifications!
ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : এনটিভি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘গতকালও আপনারা দেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন। তাহলে এটা প্রমাণিত হয়, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞায় পড়ে না।’

আজ বৃহস্পতিবার দৈনিক সমকাল কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। সমতলের ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক শেষে আইন মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে। আইনমন্ত্রী জানান, আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না বলে বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থেই এই স্থানান্তর। আর এর মাধ্যমে কোনো ক্যামেরা ট্রায়াল হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞায় পড়ে না। সাত মাস ধরে নিরাপত্তাজনিত কারণ বা অন্য কারণে যখন তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না তখন সেটার সুবিধার্থে নিরাপত্তা আরো সুনিশ্চিত করার জন্য কোর্ট নাজিমুদ্দিন রোডের যে জায়গায় প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সেখানে হয়েছে। আমার মনে হয় এতে কারো অধিকার খর্ব করা হয়নি। তারা যদি নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারে কোনো অসুবিধা নেই। বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে এবং সুষ্ঠু হবে। ন্যায়বিচার তারা পাবেন।’  

আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে আইনি নোটিশ পেলে তবেই করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান আনিসুল হক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কবে নাগাদ নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সেবিষয়ে সংসদীয় দলের প্রধান, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, জনগণের অর্থ যেন অপচয় না হয় তিনি তাঁর মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট করে আনবেন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারবে না এমন কথা কিন্তু সংবিধানে নাই।’  

গোলটেবিল বৈঠকে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনসহ নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘শুধু অর্থনৈতিক উন্নতি তো মানুষকে মানুষের জায়গায় নিয়ে যায় না। মানুষের অধিকার মানুষের মর্যাদা, মানুষের সম্মান, মানুষের নিরাপত্তা এগুলোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সেটা নিয়ে যখন আমরা কথা বলি আপনারা সেখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ষড়যন্ত্রের কথা বলি, একটু ভেবে দেখবেন, তখন কিন্তু সত্যি সত্যি ষড়যন্ত্র হয় বলেই আমরা বলি।’

আইনমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তার ভূমি অধিকার রক্ষায় শিগগিরই একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।