রাতে পুলিশের হাতে আটক, পরের দিন লাশ মিলল নদীতে

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার সামনে অটোরিকশাচালক রবিউল ইসলাম আপেলের লাশ নিয়ে মায়ের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পর রবিউল ইসলাম আপেল (২৫) নামের এক যুবকের লাশ ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দেওয়ানগঞ্জ থানার সামনের নদ থেকে আপেলের লাশ উদ্ধার করে।

নিহত আপেল দেওয়ানগঞ্জের ডালবাড়ি গ্রামের টুনুর ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আপেলের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকা থেকে আপেলকে আটক করেন দেওয়ানগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ ও কনস্টেবল তালেব। পরে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়, আপেল পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে নদীতে ঝাপ দিয়েছেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের নদীতে নামায়। বেলা ১১টার দিকে ডুবুরিরা নদী থেকে আপেলের লাশ উদ্ধার করে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। ছবি : এনটিভি

লাশ উদ্ধারের পর আপেলের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দেওয়ানগঞ্জ থানা ঘেরাও করে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানায়। এ সময় বেশকিছু দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে দেওয়ানগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফর রহমান মরদেহ ময়নাতদন্ত, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চলে যায়।

আপেলের স্ত্রী সোহাগী বেগম অভিযোগ করেছেন, আটকের পর পুলিশের দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তারা নির্যাতন করে আপেলকে হত্যা করে। এরপর তাঁর লাশ নদীতে ফেলে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছে।

অবশ্য পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেওয়ানগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, নিহত আপেল মাদকসেবী। তাঁর নামে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চারটি মামলা রয়েছে। রোববার রাতে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে দৌড়ে থানার সামনে নদীতে ঝাপ দেন বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।