সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজু আহমদ চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আজ সোমবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সভাকক্ষে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খোরশেদ আলম এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইদুর রহমান মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। এ সময় পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন।

বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী আপিল করতে পারবেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

মনোনয়নপত্র বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা খোরশেদ আলম প্রার্থীদের জানিয়ে দেন, প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল করলে নির্বাচনী আচরণ-বিধি লঙ্ঘিত হবে। এ ব্যাপারে সব মেয়র প্রার্থীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচন অফিসকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

খোরশেদ আলম বলেন, নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী রাজু আহমদ চৌধুরীর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র না থাকায় এবং দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়নের মূল কপি না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

গোলাপগঞ্জের সাবেক মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী গত ৩১ মে মারা যান। গত ১১ জুলাই মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় উপজেলা সভাকক্ষে। আগামী ৩ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।