সাতক্ষীরায় ‘ভুল’ চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩
সাতক্ষীরায় নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আত্মীয়স্বজনদের বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে গেছেন হাসপাতালের মালিক হরিদাস মণ্ডল, দুই চিকিৎসক ডা. দেবদুলাল সরকার ও ডা. সুদীপ্ত দেবনাথ। পুলিশ হাসপাতালের তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের একতা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
রোগীর আত্মীয়স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার রেউই গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুমনা খাতুনকে তিনদিন আগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সন্তান না হওয়ায় তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন।
সুমনার ভাই হোসেন আলী ও মামা মনিরুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি ও সামনে ঈদের সময় চিকিৎসক পাওয়া যাবে না বলে জানান সদর হাসপাতালের সেবিকারা। সেবিকাদের পরামর্শ অনুযায়ী সুমনাকে বেসরকারি হাসপাতাল একতায় ভর্তি করা হয়। ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই সুমনার অস্ত্রোপচার করা হয়। এ সময় সুমনা একটি ছেলের জন্ম দিলেও মারা যান তিনি।
এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করে গৃহবধূর আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভ ও একতা হাসপাতাল ভাঙচুর শুরু করেন। এরপরই দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের মালিক পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ একতা হাসপাতালের কর্মচারী আরাফাত হোসেন, কৃষ্ণপদ মণ্ডল ও আয়া শিরিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।