দুই শিক্ষার্থী নিহত

জাবালে নূরের মালিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের মালিক, দুজন চালকসহ ছয়জন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের মালিক, চালক ও সহকারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। তবে এ মামলায় দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ আদালতে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হলে বিচারক ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এ ছাড়া দুজনকে অব্যাহতি ও পলাতক দুজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আনিসুর রহমান বলেন, জাবালে নূরের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুটি বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা এ মামলায় শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

আনিসুর রহমান আরো জানান, এ ছাড়া পরিবহনশ্রমিক সোহাগ আলীম ও রিপন হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর এ মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ২৯ জুলাই রাতে নিহত শিক্ষার্থী শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

নথি থেকে জানা যায়, ২৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সামনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের শেষ প্রান্তে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসচালকের রেষারেষিতে প্রাণ হারায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী। তারা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।