চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতের ঘোজাডাঙ্গা থেকে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরের বাইরে এভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি-২০১৫, রোববার এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ছবি : এনটিভি

আমদানিপণ্যের ওপর চাঁদাবাজি এবং বন্দরে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার দুপুর ১টা থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে,  আমদানির সময় প্রতি ট্রাকে ২০ টন বা তার কিছু কম-বেশি ফলের জন্য ব্যবসায়ীরা সরকারকে রাজস্ব দেন মাত্র ১৪ টনের। কিছুদিন আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৮ টনের রাজস্ব দাবি করে। এতে রাজি না হয়ে আজ দুপুর ১টা থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায়  দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে।

ভোমরা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম জানান, ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া আগে প্রতি সপ্তাহে একটি ‘বিশেষ মহল’কে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হতো তাদের। সম্প্রতি ‘মহলটি’ এক  লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করায় এ নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

তবে এই ‘বিশেষ মহল’ কারা সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি অহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ভোমরা বন্দরের সহকারী কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল আমদানিতে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু আরো সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেন তাঁরা। তবে কী কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন তা  জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে সরকার প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে বলেও জানান ওই সহকারী কমিশনার।