রাতের আঁধারে হঠাৎ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

Looks like you've blocked notifications!
সীমান্তে রোহিঙ্গা ঢল। ফাইল ছবি

গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১০-২০ জনের ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এক-একটি দল নাফ নদ পেরিয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় দালালরা টাকারা বিনিময়ে তাদের সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চর সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে গভীর রাতে আসা একটি দলের সাত সদস্যকে আটকের পর তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ন টেকনাফ ক্যাম্পের অধিনায়ক আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে আসা একটি দলের সাত সদস্যকে আটক করে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা। তাদের শুক্রবার সকালে নিয়ম অনুযায়ী নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা জানান, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গত কয়েকদিন ধরেই ছোট ছোট দলে রোহিঙ্গারা রাতের আঁধারে আসছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিছু রোহিঙ্গা নাফ নদের ঘোলার চর পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে শাহপরীর দ্বীপ লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এদের অনেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খুব সম্ভবত তাঁরা শরণার্থী শিবিরে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে গেছে। বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র পালিয়ে যেতে দেখেছে বলেও জানিয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা হোসেন আহমদ গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে আট থেকে নয়জনের একটি রোহিঙ্গা দল চলে যেতে দেখেছি। তবে তাদের আগে-পিছে আরো লোক ছিল কি না তা বলতে পারব না।’

নাফ নদের তীরে বসবাসকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘প্রায় ২৫-৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। গ্রামে রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে অভিযানও চালিয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, বিজিবি সাতজনকে ধরতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে গেছে। দালালরা তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘কিছু রোহিঙ্গা নাফ নদ দিয়ে শাহপরীর দ্বীপে ঢুকেছেন বলে শুনেছি। তবে যত দূর জানি, ঢুকে পড়া রোহিঙ্গারা বিজিবির হাতে আটক হয়েছে এবং বিজিবি তাদের ফেরতও পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনো রোহিঙ্গা অন্যত্র পালিয়ে গেছে কি না, তা আমার জানা নেই।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের এদেশে নিয়ে আসতে সক্রিয় রয়েছে একাধিক দালালচক্র। রোহিঙ্গাদের প্রবাসে অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনরা দালালদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে।