মুক্তিযোদ্ধা বাবার ভাতা নিয়ে বিরোধ, খুন

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মামলা করা হয়। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা বাবার ভাতাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

উপজেলার বাঘেরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়াকে (৬৫) গত মঙ্গলবার পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজের বাড়িতেই মারা যান। এরপর গতকাল শুক্রবার রাতে  হত্যা মামলা করেন লাল মিয়ার স্ত্রী মোছা বেগম।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কুমার চক্রবর্তী আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলায় লাল মিয়ার বড় ভাই চাঁন মিয়া (৬৮), তাঁর ছেলে মজিবর রহমান (৩২), ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম (৫৫), রফিকুলের ছেলে মেহেদী (১৮), শ্যালক আনন্দ (৩০) ও রতনকে (৫০) আসামি করা হয়েছে। রফিকুল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অবসরে গেছেন।’

মামলার বরাত দিয়ে এসআই জানান, লাল মিয়ার বাবা হযরত আলী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে মারা যান। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর হযরত আলী আদুরি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় ঘরে কোনো সন্তানাদি নেই। আদুরি বেগমের অবর্তমানে সন্তানরা বাবার ভাতা নিজেরা গ্রহণের উদ্যোগ নেন। তার সূত্র ধরেই লাল মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই রফিকুলের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এর জের ধরেই গত মঙ্গলবার নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় লাল মিয়াকে একা পেয়ে আসামিরা মারধর করে পা ভেঙে দেন। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে যান। বৃহস্পতিবার রাতে লাল মিয়া মারা যান। 

গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান এসআই অজয় কুমার চক্রবর্তী।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

এ দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ময়মনসিংহ জেলার সাবেক কমান্ডার আবদুর রব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তাঁর স্ত্রী ভাতা উত্তোলন করতে পারেন। স্ত্রীর অবর্তমানে সন্তানরা সেই ভাতা পান।