গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গণপিটুনিতে নিহত
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবদুল জলিল গাইন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সহস্রাধিক লোকজন কৃষ্ণনগর ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জলিলকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে গণপিটুনি দেয়। এ সময় একাধিক গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি কৃষ্ণনগর ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল জলিল গাইনকে গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে সাতক্ষীরায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জলিলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কৃষ্ণনগরে যাওয়া মাত্র হাজার হাজার লোক এসে জোর করে তাঁকে ছিনিয়ে নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে।
হাসান হাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল সেখানেই তাঁর হত্যা মামলার প্রধান আসামি জলিলকে পিটুনি দিয়ে হত্যা করে লোকজন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ কার্যালয়ে বসে থাকাকালে চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় একই ইউপির সদস্য আবদুল জলিল গাইন ওরফে ডাকাত জলিল ওরফে খুনে জলিলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহতের মেয়ে সাথিয়া পারভিন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে লাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে এখনও বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।