আর মান ভাঙাতে যাবেন না প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে অপমানিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর মান ভাঙাতে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে তিনি এসব কথা বলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা আন্তজার্তিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার।

সংসদে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘এই যে পলিটিক্যাল অভিমানটা যে চলছে, কোনো অংশে রোহিঙ্গার চেয়ে কম সমস্যা নয়। এটা কীভাবে সমাধান করবেন? আমি একটু জানতে চাই।’

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিতে মান-অভিমান বিষয় নয়, প্রশ্ন নীতির। শেখ হাসিনা জানান, তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষের স্বার্থে, নিজের জন্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি অর্থ আত্মসাৎ করে, কেউ যদি চুরি করে, কেউ যদি খুন করে, কেউ যদি খুনের প্রচেষ্টা করে, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে? তার বিচার হবে, এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতি সবাই করে, যার যার নিজস্ব আদর্শ নিয়ে। আর দেশটা সকলের। দেশটা এমন না যে আমাদের একার। দেশটা সকলের জন্য। দেশের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি যারাই রাজনীতি করবে তাদের একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। এবং সেই দায়িত্ববোধ থেকেই তারা তাদের স্ব স্ব কর্মপন্থা ঠিক করবে। এখানে কে মান-অভিমান করল আর কার মান ভাঙাতে যাব? সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয় তো সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আমার আর নেই।  

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিমসটেক সম্মেলনে তাঁর কথা হয়েছে, তাঁরা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান, তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাপক দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সাথে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি যে মিয়ানমার এই আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই তারা ফেরত নিতে বাধ্য হবে। 

অন্য আরেক প্রশ্নে সারা দেশে সড়ক-সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত কাজ করেছে তাঁর সরকার তা বলতে গেলে কয়েকদিন লেগে যাবে।