এস কে সিনহা মনগড়া কথা বলেছেন : কাদের

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) অন্তর্জ্বালা থেকেই তাঁর বইয়ে সরকারের সম্পর্কে মনগড়া কথা লিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম : রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। সরকার ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার চাপ এবং হুমকির মুখে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে এস কে সিনহা তাঁর বইটিতে দাবি করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় যেন সরকারের পক্ষে যায়, সে জন্য তাঁর ওপর সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে চাপ তৈরি করা হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি।

এস কে সিনহার এসব দাবি ক্ষমতা হারানোর ‘অন্তর্জ্বালা’  হিসেবে অভিহিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যিনি সাবেক হয়ে গেছেন, সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা তাঁর আছে। কী পরিস্থিতিতে হয়েছেন, সবাই জানেন। এখন তিনি বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে অত নাক গলানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’

এর পরপরই ওবায়দুল কাদের সাবেক এই বিচারপতির নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, ‘ক্ষমতায় যখন কেউ থাকে না, তখন অনেক অন্তর্জ্বালা, বেদনা থাকে। এ অন্তর্জ্বালা থেকে অনেকে অনেক কথা বলে। এখন উনি প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এখন যা বলছেন বইতে, সেগুলো বলার সাহস একজন বিচারপতির কেন ছিল না, এটা  নৈতিকতার প্রশ্ন।’

২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল-সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে এস কে সিনহার ওপর ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের নেতারা। ওই রায় নিয়ে প্রচণ্ড চাপের মুখে এস কে সিনহা দেশ ছেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তৎকালীন পরিস্থিতি ও সদ্য প্রকাশিত বইটি  নিয়ে গতকাল বুধবার বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার  দেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।