কমিটিতে মন্ত্রীর চার আত্মীয়, একজনের মৃত্যু চার মাস আগে

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত এবং কমিটির এক নম্বর সদস্য প্রয়াত আফাজ উদ্দিন সরকার (বাঁ থেকে)। ছবি : সংগৃহীত

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছোট ভাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আফাজ উদ্দিন সরকার গত ২৫ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই আফাজ উদ্দিন সরকারকে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে ১ নম্বর সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে ধর্মমন্ত্রী ছেলে ও দুই নাতিও স্থান পেয়েছেন।

গত মঙ্গলবার ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার রাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাগজ হাতে পাওয়ার কথা এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।

২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ঘোষিত ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সভাপতি হন এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হন ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিত উর রহমান শান্ত। শান্ত মহানগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল আলম আজাদ শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।

ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত আমিনুল ইসলাম তারা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফাতেমা জোহরা রানীর ছেলে রাফিউল আদনান প্রিয়ম পেয়েছেন ২২ নম্বর সদস্য পদ। প্রিয়মের ফুপাত ভাই শাকিল রানা চৌধুরী প্রবালকে দেওয়া হয়েছে ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। প্রিয়মের বাবা আমিনুল ইসলাম তারা হলেন ধর্মমন্ত্রী ভাগ্নে। সেই হিসেবে প্রিয়ম ও প্রবাল দুজনই সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রীর নাতি হন।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন পেয়েছেন কমিটির দুই নম্বর সদস্য পদ।

কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছেন পার্থ প্রতিম চন্দ। তাঁর বড় ভাই প্লাবন চন্দকে কমিটির ১৮ নম্বর সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এনটিভিকে বলেন, ‘আফাজ সরকারকে মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয়েছে। এক মাস পর এই তালিকা পরিবর্তন করা হবে। অন্যদেরও যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে।’