৬৩ বছর পর আবার গড়ে উঠছে প্রথম শহীদ মিনার
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষার দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল রাজধানী ঢাকা। সেদিন ভাষার জন্য করা মিছিলের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকতসহ বেশ কয়েকজন।
আন্দোলন আর পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়ার খবর পৌঁছে যায় রাজশাহীতেও। সেদিন রাতেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রাজশাহী কলেজের মেইন হোস্টেলের ফটকে নির্মাণ করা হয় দেশের প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।
অবশ্য পরদিনই পুলিশ এসে গুঁড়িয়ে দেয় শহীদ মিনারটি।
এর পর থেকে বহুবার শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণের দাবি উঠেছে। কিন্তু নানা কারণে উপেক্ষিত থেকেছে সেই দাবি।
তবে এবার বাস্তবায়ন হতে চলেছে রাজশাহীবাসীর স্বপ্ন। ভাষা আন্দোলনের ৬৩ বছর পর রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার ব্যক্তিগত উদ্যোগে একই স্থানে নতুন করে নির্মিত হতে যাচ্ছে শহীদ মিনারটি।
আজ শনিবার বিকেলে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী কলেজ মেইন হোস্টেলের ফটকে দেশের প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকার চাহিদাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ সময় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মহান ভাষা আন্দোলন স্মরণে এখানে দেশের প্রথম শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। এটি ইতিহাস। এই ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এখানে দেশের প্রথম শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে মহান ভাষা আন্দোলন স্মরণে দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ।’
এই শহীদ মিনারটি ৫২ ফুট উঁচু হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এর পাশাপাশি রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও নির্মিত হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর তানবিরুল আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)-এর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হকসহ রাজশাহী কলেজের শিক্ষকরা।