ইভিএমের অপব্যবহার করলে সাত বছর জেল

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। ছবি : এনটিভি

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) অপব্যবহার বন্ধে বেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেউ যদি ইভিএমের অপব্যবহার করে তবে তাঁকে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে আইন সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এসব কথা জানিয়েছেন।

কবিতা খানম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইভিএমের অপব্যবহারের ব্যাপারে বেশ সতর্ক অবস্থান নিতে চাচ্ছে কমিশন। আস্তে ধীরে যেহেতু নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে ইসির সেহেতু এর অপব্যবহার বোধ করার জন্য শাস্তির বিধানও দরকার।’

আইন সংস্কার কমিটির প্রধান বলেন, ‘এই মেশিনের অপব্যবহার বন্ধের চিন্তা থেকে আমরা আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব করে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কেউ যদি ইভিএমের মাধ্যমে জাল ভোট দিতে কাউকে সুযোগ করে দেয় কিংবা কোনো ধরনের অপব্যবহার করে তবে তাঁকে সর্বোচ্চ সাত বছর এবং সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করেছি। এ ছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শুধু সাময়িক প্রত্যাহার নয়, বদলির ক্ষমতাও চায় নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া প্রচলিত আইনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে শুধু আপিল করা যায় কিন্তু এবার সংশোধিত আইনে মনোয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধেও আপিলের সুযোগ রাখার প্রস্তাব রয়েছে।’

কবিতা খানম বলেন, ‘এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, প্রার্থীদের আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যুক্ত করা, অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াসহ মোট ১২টার বেশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) নির্বাচন কমিশন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে ইসি। এসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আরো জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’