ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সরকার আতঙ্কিত : মোশাররফ

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার এক সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার আদায়ের এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এবং তা প্রকাশ করছি। এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নাই।’

খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, যুবক-শিশু-কিশোর, পেশাজীবী সবার এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কেননা, জাতীয় ঐক্যকে মোকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। এবং এটা তাদের স্বপ্নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে জন্য সরকার জাতীয় ঐক্য নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ সব নেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে প্রতিবাদ সভা হয়। মরহুম নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এই সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

গত শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার লক্ষ্যে নাগরিক সমাবেশ হয়। সেখানে বিএনপি, বিকল্পধারা, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়। সরকারবিরোধী এই ঐক্য নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে নাগরিক সমাবেশের ঘোষিত পাঁচটি দাবিও তুলে ধরেন বিএনপির নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দাবিগুলো হলো—সরকারকে তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন করতে হবে, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় মাঠে রাখতে হবে ও ইভিএম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনকে ছাড়া দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না এমনটা দাবি করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের এই সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু আমরা চাই তা নয়, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও তা চায়। এর আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, তার কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। দেশে আগামীতে যদি কোনো নির্বাচন হয়, মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচন হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন হবে না।’

মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করতে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, তাকে ‘কালা কানুন’ বলে অভিহিত করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এই কা‌লা কানুন বা‌তি‌লের আহ্বান জানাচ্ছি।’

নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপ‌তি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপ‌তি‌ত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।