রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রাতে পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। আজ সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে মেয়েটি তার দুঃসম্পর্কের এক চাচার সঙ্গে পাশের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় যায়। সেখান থেকে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে রাজাপুরের পশ্চিম চাড়াখালী এলাকায় এলে চাচার কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় বখাটে হেলাল তালুকদার (২৮) ও তার সহযোগীরা। এ সময় চাচাকে ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় শাহ আলম কাজীর একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে হেলাল। এরপর ছাত্রীকে পাশের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ওই ছাত্রীর দাদাকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে হেলালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। টাকা না দিলে ছাত্রীকে আটকে রাখা হবে বলেও জানায় হেলাল। ঘরের ভেতর আটকে রাখা ছাত্রীকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণের চেষ্টা চালায় হেলালের সহযোগী স্থানীয় বাবুল তালুকদার।
এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাত ১২টায় রাজাপুর থানার পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার দাদা-দাদির কাছে ফিরিয়ে দেয়। দাদা-দাদি আজ সোমবার সকালে ব্যথায় কাতর ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বদরুদ্দোজা জোবায়ের বলেন, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার পর প্রাথমিক ব্যবস্থাগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিনি। পুলিশকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে যেন পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়।