হাবিব-উন-নবী সোহেল এবার চারদিনের রিমান্ডে
প্রিজনভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দানের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে এবার চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদ হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম আজ পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা সোহেলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোহেলের আইনজীবী হান্নান ভূইয়া জানান, এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোহেলকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালত। সে রিমান্ড শেষ হলে আজ সোহেলকে হাজির করে আবারও রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের সামনে প্রিজনভ্যান থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি নেতা সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সোহেলকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে সোহেলকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি সজ্জন, মৃদুভাষী একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার পরও শুধু সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করায় তাঁর বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। বেশ কিছু মামলায় জামিনের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ৭০ থেকে ৮০টি মামলা করা হয়েছে।