সরকারের দমননীতির নতুন ফর্মুলা গায়েবি মামলা : মঞ্জু

Looks like you've blocked notifications!
খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ছবি : এনটিভি

সারা বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এ পর্যন্ত তিন হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেছেন, এই গায়েবি মামলা সরকারের দমননীতির নতুন একটি ফর্মুলা।

আজ বুধবার দুপুরে খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

খুলনা মহানগর সভাপতি মঞ্জু বলেন, ‘দেশে সরকারের দমননীতির নতুন ফর্মুলা শুরু হয়েছে। এই ফর্মুলার নাম দেওয়া হয়েছে গায়েবি মামলা। সারা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তিন হাজার গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনাও তার বাইরে নেই। এর প্রতিবাদ জানাতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আপনারা সাক্ষী ভোট ডাকাতির খুলনা মডেল (বিষয়ে), যেটি দেশে-বিদেশে সর্বাধিক আলোচিত হয়েছে।’

চলতি মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরে ১৪টি গায়েবি মামলা করে প্রায় চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আদালতকে কোনো প্রকার জামিন না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেলে রাখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি অবিলম্বে সব মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, মিথ্যা মামলা দায়ের ও গণগ্রেপ্তার চালিয়ে বিশ্বের কোনো দেশে কোনো অবৈধ স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, বাংলাদেশেও পারবে না। দেশের বাইরে নয়, দেশের ভেতরে তাকালেই এমন নজির পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গায়েবি মামলা করে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও গণগ্রেপ্তার চালিয়ে মাঠ ফাঁকা করে আরেকটি ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করার নীলনকশা চলছে। এটি কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না। রাজপথের লড়াইয়ের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।