জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

কালিহাতীর ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!

মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আরো একজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রুবেল নামেন ওই যুবক মারা যান।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রুবেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।

এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়াল। এর আগে এ ঘটনায় নিহতরা হলেন কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন, একই এলাকার শ্যামল দাস (৩০) ও ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের শামিম মিয়া।

এ দিকে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা আরা বেগম ও কালিহাতীর সহাকারী ভূমি কমিশনার ইশরাত সাদমিন।

এর আগে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলীকে প্রধান করে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে কালিহাতী থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই) ও চার কনস্টেবলকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গতকাল শনিবার এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।

এদিকে কালিহাতী ও ঘাটাইল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকশ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আটককৃত সাতজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা আলামিন ও তাঁর মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে গত শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় এলাকাবাসী। মিছিলটি উপজেলা সদরের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এ সময় তিন বিক্ষোভকারী মারা যান। পুলিশের দাবি, তাদের গুলিতে কেউ মারা যায়নি।

মা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় হাফিজ উদ্দিন ও রোমা নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও বিক্ষোভকারীদের থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে পুলিশ।