আকাশ সংস্কৃতির মন্দ দিক বর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

Looks like you've blocked notifications!
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত আন্তর্জাতিক লোক সংস্কৃতি উৎসবে বক্তব্য দেন। ছবি : পিআইডি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতির ডামাডোলে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। বরং তা থেকে ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে মন্দ দিকগুলো বর্জন করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলার সংস্কৃতি দেশে-বিদেশে পৌঁছে দিতে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, নির্মাতা, গবেষকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে।

আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত আন্তর্জাতিক লোক সংস্কৃতি উৎসব উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দেশ-বিদেশের লোকসংস্কৃতি গবেষক ও শিল্পীবৃন্দ এতে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলার প্রাচীন লোকসাহিত্যসহ আধুনিক লোকগীতি ও লোকজ সাংস্কৃতিক গবেষণার জন্য একটি লোকসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজন। নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি রাখা যেতে পারে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের ৩ একর জমিতে একটি আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশ বিদেশের লোকগবেষক ও শিল্পীদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় করবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লোকগবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার। শুভেচ্ছা আলোচক ছিলেন ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেবকন্যা সেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হোসেন ও বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন।

ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়র রহমান খান। সভা শেষে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাতে নৌকার ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু এবং পৌরসভার চাবির ক্রেস্ট তুলে দেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ নজরুল ইসলাম খান।    

এর আগে শহরের আরামবাগ এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।