সোহরাওয়ার্দীতে শুরু হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ

Looks like you've blocked notifications!
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি

জুমার নামাজ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। তার কিছু পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জনসভার কাজ।

আজ শুক্রবার ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ ঘিরে আগে থেকেই উদ্যানে সমবেত হয় নেতাকর্মীরা। পরে উদ্যানে নামাজের অনুমতি না পেয়ে তারা উদ্যান ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

পরে নামাজ শেষে আবারও উদ্যানে এসে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। মূল মঞ্চের সামনে এসে বসে পড়ে কেউ কেউ। একপর্যায়ে প্রায় পুরো মাঠই ভরে যায়।

এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকরা মূল মঞ্চের সামনে কাউকেই যেতে দিচ্ছেন না।

রবিউল ইসলাম নামের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,  ‘এখানে আমাদের এমনিতেই থাকা নিষেধ আছে দুপুর ২টার আগে। কিন্তু অনেকেই বাইরে থেকে আসছে। বের তো আর করে দিতে পারি না। তবে স্টেজের সামনে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। এখানে আমরা লাইন বেঁধে দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করছি।’

এর আগে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থলের সামনে এসে মো. মিন্টু মিয়া নামের এক স্বেচ্ছাসেবককে নামাজের আহ্বান জানাতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘চলেন উদ্যান ছেড়ে চলে যাই। এখানে জুমার নামাজ হবে না। বাইরে পড়তে হবে। এখানে কেউ থাকবেন না। সবাই নামাজের পরে এখানে আসবেন। নামাজের আগে এখানে থাকা নিষেধ আছে।'

জানতে চাইলে মিন্টু মিয়া বলেন, 'এখানে নামাজ পড়ার অনুমতি মেলেনি। বাইরের মসজিদে নামাজ পড়তে হবে। আশপাশেই অনেক মসজিদ আছে। বায়তুল মোকাররম আছে। সবাই এখানে নামাজের পরে এসে জড়ো হবে।’

তবে স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্যানের ভেতরেই নামাজ আদায় করতে পেরেছেন। দুপুর ১টার দিকে উদ্যানের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের নামাজে দাঁড়ানোর জন্য মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। মূল মঞ্চের সামনে নামাজ পড়তে আহ্বান জানানো হয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দায়িত্বরত শাহবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অমল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'এখানে তাদের নামাজের অনুমতি নেই। তবে যাঁরা এখানে স্বেচ্ছাসেবক আছেন, তাঁরা নামাজ না পড়ে আর কোথায় যাবেন। বাকিরা দুপুর ২টা থেকে এখানে এসে উপস্থিত হবেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা এখানে থাকবেন। নিরাপত্তার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। এখন পর্যন্ত আশা করছি, কোনো ধরনের ঝামেলা হবে না এখানে।’