দালালমুক্ত করতে ভূমি নিবন্ধন অফিসে পুলিশের নজরদারি

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি নিবন্ধন অফিস চত্বরে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি। ছবি : এনটিভি

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি নিবন্ধন অফিস দালালমুক্ত ও সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নজরদারিসহ পুলিশী পাহারা বসানো হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত অফিস চত্বরে টহল দিচ্ছেন।

গত ৪ অক্টোবর থেকে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরেও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা অফিস চত্বরে অবস্থান নেন।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি নিবন্ধন অফিসে দলিল সম্পাদন করতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একটি অসাধু চক্র প্রতিদিন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে এ রকম অসংখ্য অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই উপজেলা সদর ভূমি নিবন্ধন অফিসে নিয়মিত পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান জেলার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূমি অফিস সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, সরকারি বিধি মতে খাতওয়ারি নিবন্ধন ফি বাবদ প্রতি এক লাখ টাকায় সরকারি কোষাগারে জমা হতো সাড়ে ১২ শতাংশ। এই নিবন্ধন ফি পৌর এলাকার জন্য বরাদ্দ। পৌর এলাকার বাইরের জন্য বরাদ্দ ৯ শতাংশ। কিন্তু অসাধু চক্রটি নিবন্ধন অফিস ও দলিল সম্পাদন করতে আসা মানুষকে জিম্মি করে ১২ শতাংশের স্থলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত ৮ শতাংশ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

নিবন্ধন অফিসের সূত্র মতে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৭০টি বিভিন্ন রকমের দলিল সম্পাদন করা হতো। এই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল অসাধু চক্রটি।

এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু হানিফ বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে অফিস চত্বরে পুলিশের টহল শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে দলিল লেখকদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কোনো কথা হয়নি। পুলিশ ও নিবন্ধন কর্মকর্তা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. শাহনেওয়াজ খানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা গেছে তিনি বদলি হয়েছেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী বলেন, সদর ভূমি নিবন্ধন অফিস দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। মানুষকে জিম্মি করে সেখানে হয়রানি করা হতো। প্রায় সময় মারামারির ঘটনাও ঘটত।