নৌকা পেতে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির গণসংযোগ

Looks like you've blocked notifications!
আটঘরিয়া উপজেলার বেরুয়ান গ্রামের একটি জনসংযোগ সভায় বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) এ এস এম নজরুল ইসলাম রবি। ছবি : এনটিভি

ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ আসন। এই আসন থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

সেই পাবনা-৪ আসনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) এ এস এম নজরুল ইসলাম রবি। ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতিস্বরূপ প্রতিদিন এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি।

গত কয়েক দিনে চাদভা, লক্ষ্মীপুর, দেবোত্তর, মতিঝিল, খিদিরপুর, পার খিদিরপুর, আটঘরিয়া সদরসহ বেশ কিছু জায়গায় জনসংযোগ চালান ডিজিএফআইয়ের সাবেক এই প্রধান।  

এ এস এম নজরুল ইসলাম রবি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে আবারও শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নজরুল ইসলাম রবি পাকিস্তান সেনানিবাসে বাঙালি কর্মকর্তা হিসেবে বন্দি জীবনযাপন করেন এব অকথ্য নির্যাতন ভোগ করেন বলে জানান তিনি।

জেলার আটঘরিয়া উপজেলার বেরুয়ান গ্রামে জন্ম অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রবির। তাঁর বাবা আলহাজ অ্যাডভোকেট শাহাদত আলী ছিলেন স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা মোছা. রাবেয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী।

নজরুল ইসলাম রবি ১৯৭০ সালে সেনা অফিসার পদে কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে তিনি মেজর জেনারেল হন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ডিজিএফআইয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম রবি আশির দশকে নকশবন্দি মোজাদ্দেদীয়া তরিকার পীর টাঙ্গাইল প্যারাডাইসপাড়া দরবারের হজরত মাওলানা শাহ সুফি মকিম উদ্দিন আহমেদ নকশবন্দি মোজাদ্দেদী (রহ.)-এর হাতে বায়াত নেন এবং ১৯৯৪ সালে তিনি তরিকার খেলাফতও পান। তাঁর জন্মস্থান বেরুয়ান গ্রামে মোজাদ্দেদীয়া তরিকার একটি খানকা রয়েছে। সেখানে প্রতি মাসে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে তিনি পাবনা জেলার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তালিকাভুক্ত ২৫০ বছরের পুরোনো বেরুয়ান জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি এতিম, দুঃস্থদের সহায়তায় দানের উদ্দেশে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলাব্যাপী মুজাদ্দেদীয়া মানব কল্যাণ (মুমাক) নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন।