শরীয়তপুরে শিশুদের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি

Looks like you've blocked notifications!

শরীয়তপুর সদর পৌরসভার দাসার্ত্তা গ্রামে মালেক মোল্লার বাড়িতে শিশুদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ডাকাতরা শিশুসহ বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার, ট্যাব ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে।

ওই বাড়ির সদস্যরা জানান, ১৫-২০ জন ডাকাতের একটি দল গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘরের সামনের দরজা ভেঙে মৃত মালেক মোল্লার ছেলে প্রবাসী মিন্টু মোল্লার ঘরে প্রবেশ করে। পরে  তাঁর ভাই সেন্টু মোল্লার ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। বাড়ির লোকজন ডাকাতদের দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় ডাকাতরা শিশুদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে দুই ঘণ্টা ধরে লুটপাট করে তিনটি মোবাইল ফোনসেট, দুটি ট্যাব, ৩০ হাজার টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

ওই বাড়ির সেন্টু মোল্লার স্ত্রী রুবিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। শাশুড়ি ও সন্তানদের নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। গতকাল রাতে হঠাৎ বাড়িতে শব্দ শুনতে পাই। পরে দেখি ঘরের ভেতরে ১২ থেকে ১৫ জন লোক। ওরা আমার মেয়ের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে, কথা বললে তোর মেয়েকে মেরে ফেলব। তখন ভয়ে আমি আলমারির চাবি দিয়ে দেই। আমার শাশুড়ি চিৎকার করলে তাঁকে মারধর করা হয়। ডাকাতরা সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণ, ১৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব নিয়ে যায়।

মিন্টু মোল্লার স্ত্রী কহিনুর আক্তার বলেন, ঘরে ঢুকে ডাকাতরা আমার ছোট বাবুটির গলায় অস্ত্র ধরেছিল। আমি বলেছিলাম, ঘরে যা আছে নিয়ে যান কিন্তু আমার বাবুকে ছেড়ে দেন। তখন তারা একটি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাব ও ছয়-সাত ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। ডাকাতদের প্রত্যেকের হাতে টর্চ লাইট ও ধারালো অস্ত্র ছিল।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পালং থানাধীন দাসার্ত্তা গ্রামের মালেক মোল্লার বাড়িতে গত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) কামরুল হাসান বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন।

ওসি মনিরুজ্জামান আরো বলেন, ডাকাতরা ঘরে ঢুকে ২৫-৩০ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন, দুটি ট্যাব ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো মামলা হয়নি। তবে ডাকাতির খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।