জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে : মওদুদ

Looks like you've blocked notifications!
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ছবি : এনটিভি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কোনো গুরুত্ব না দিয়েই জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বাতিল ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কারণে সরকার মনে করছে, আমাদের যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া করতে যাচ্ছি, এটাকে ব্যাহত করা হবে। আমি বলব, এই রায়কে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে, উপেক্ষা করে, এই রায়কে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন চলবে। খুব শিগগির আমরা এটার একটা রূপরেখা দেবো এবং এই আন্দোলনের একটা কাঠামো ঘোষণা করব। এরপর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে এই সরকারের পতনের ব্যবস্থা করব। এই সরকার বাধ্য হবে সংলাপে আসতে।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে খুশি করছে দাবি করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের খুশি করার জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এমনকি যারা অবসরপ্রাপ্ত, পেনশনের টাকা নিয়ে নিয়েছে, তাদেরও আবার নতুন করে পেনশন দিচ্ছে। এতে যদি কিছু ভোট তারা পায়! এই ভোট পাওয়ার জন্য কওমি মাদ্রাসাদের স্বীকৃতি দিয়ে দিল। এই ভোট পাওয়ার জন্য প্রতিদিন তারা প্রকল্প উদ্বোধন করছে। এগুলা সব হলো নির্বাচনী প্রকল্প, দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য করছে। এদের ৮০ ভাগই যদি ভোট দিতে যায়, তারা যে তাদের ভোট দেবে না এটা তারা জানে না।’

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর আওয়ামী লীগ তৎকালীন সরকারকে কোনো সহযোগিতা করেনি অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনায় আমরা খুব মর্মাহত হয়েছি। এ ধরনের ঘটনা আর যেন বাংলাদেশের মাটিতে না ঘটে, সেটাই আমরা কামনা করি। এ ধরনের ঘটনাকে ঘৃণা করি আমরা। এই মামলায় যিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না, তাঁকে আজকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় সরকার। প্রথম চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ছিল না, মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি বক্তব্য দিয়েছিল সেখানে তাঁর নাম ছিল না। এফবিআইর রিপোর্টে ছিল না, ইন্টারপোলের রিপোর্টে ছিল না।’

মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার নতুন করে একটা বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করে। অকথ্য অত্যাচার করে এই মুফতি হান্নানের কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করিয়েছিল। মুফতি হান্নান আদালতে বলেছে, তার কাছ থেকে জোর করে তারেক রহমান উচ্চারণ করানো হয়েছে। সে তারেক রহমানকে চেনেও না। কোনোদিন সাক্ষাৎ পায়নি তাঁর।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একটাই পথ আছে এখন, সেটা হলো রাজপথ। রাজপথ ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। এখন আপনারা প্রস্তুতি নেন, সময় এসে গেছে । মাঠে নেমে এই দাবি আদায় করতে হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।