‘এ সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই’

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়া শহরের সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশের জনগণ আছে দাবি করে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘এ সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা আর কারো নেই।’

হানিফ বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে এ কথা শুনেই আসছে দেশবাসী। বিএনপির যদি আন্দোলন করার শক্তি থাকত, তবে এই সরকার অনেক আগেই বিদায় হয়ে যেত।’

আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব-উল-আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডেও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জড়িত ছিলেন, এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। লন্ডনে বসে বিএনপি নেতা এই হামলার কলকাঠি নেড়েছেন, তার তথ্য প্রমাণ এরই মধ্যেই চলে এসেছে। সেটারও তদন্ত চলছে। আশা করছি এ বিষয়ে খুব শিগগিরই দেশবাসী জানতে পারবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর আদালতের একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ওই হত্যাকাণ্ড হয় বলে জানিয়েছিলেন আদালত। গতকাল সেই পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের হয়, তাহলে বর্তমান সরকারের আমলে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, হলি আর্টিজান এবং জঙ্গি হামলায় নিহত বিদেশি কূটনৈতিক ব্যবসায়ী, এনজিও কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, যাজক, পুরোহিত, ব্লগার হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের দায় ক্ষমতাসীনদের ওপরই বর্তায়। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।’

বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের উত্তরেই মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

এ ছাড়া হানিফ বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করার কোনো অধিকারই থাকতে পারে না। এ রকম একটি দলের আন্দোলন নিয়ে দেশবাসী ভাবছে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ নিয়ে সন্ত্রাসী দলের সাথে আলাপ-আলোচনারও কিছু নেই। তথাকথিত আন্দোলনের বুলি দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’

এ  সময় সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর কাদের প্রমুখ। এ সময় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।