‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আশাবাদী’, ঠাকুরগাঁওয়ের পূজামণ্ডপে মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। ছবি : এনটিভি

ঠাকুরগাঁওয়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে তিনি সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী ও ২৯ মাইল এলাকার পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন।

পরে কালীবাড়ীতে নিজ বাসভবনে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল । এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা থেকে ঠাকুরগাঁও সারা বাংলাদেশের উদাহরণ বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিএনপি আশাবাদী বলেও জানান দলটির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে সবাই জানে এখন। এই জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে, এই দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবার জন্য এবং এই দেশের মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবার জন্য। সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা প্রবর্তন করবার জন্য। আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে অন্যায়, মিথ্যাভাবে এবং একইভাবে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী আজকে মামলায় জর্জরিত। গণতান্ত্রিক যে স্পেস সেটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে গেছে। এখন সেটার কোনো কিছুই অবশিষ্ট নাই। আমরা বলেছি যে, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না এবং নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী  মোতায়েন করতে হবে। এই প্রধান দাবিগুলো নিয়ে আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি, কারণ আমরা মনে করি, যেন একটা সুষ্ঠু অবাধ, সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ করার সুযোগ তৈরি হয়। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বড় খোঁচাবাড়ী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। ছবি : এনটিভি

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখানে আমরা অত্যন্ত একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বাস করি। আমাদের এখানে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ , খ্রিস্টান, সবাই অত্যন্ত স্বাধীনভাবে মুক্তভাবে তাদের ধর্মীয় যে কাজ আছে, সে কাজগুলো করতে পারেন এবং ধর্ম পালন করতে পারেন। আমার মনে হয় যে সারা বাংলাদেশের মধ্যে এই বার্তাগুলাই হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এই পূজাতে আমরা প্রার্থনা করেছি পরম করুণাময়ের কাছে। বাংলাদেশে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশে যেন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।’

আগামী ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জনসভা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অলরেডি আমরা জানিয়েছি আপনাদের ২৩ তারিখে আমরা সিলেটে জনসভা করতে যাচ্ছি। তারপরের তারিখগুলো আমরা জানিয়ে দেব। পরবর্তীকালে আরো জনসভা হবে এবং শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাব।’

পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই এলাকার অন্য মণ্ডপগুলোও পরিদর্শন করেন। তিনি এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম দেখেন। এ সময় তাদের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় বিএনপির মহাসচিবকে।