ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার একটিও গ্রহণযোগ্য নয় : বাণিজ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি : পিআইডি

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার একটিও গ্রহণযোগ্য নয়। আদর্শ ছাড়া কোনো লক্ষ্য পূরণ হয় না। তাদের কোনো আদর্শ নেই।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দুইদিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা ‘শোকেস কোরিয়া-২০১৮’-এর উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি আদর্শ ছেড়ে বিএনপির সাথে জোট বেঁধেছেন। ড. কামাল হোসেনের কী সামর্থ্য আছে, তা আমাদের জানা আছে। তিনি কোনোদিন এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক নেতা জড়িত। আজ তা প্রমাণিত। যতোই কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করুক না কেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মোতাবেক। বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’

কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। সরকার বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।’

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ অনেক যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকে, সে কারণে আমাদের আমদানি বেশি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৩৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ।একই সময়ে আমদানি করেছে এক হাজার ২৬৮ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছে। কোরিয়া কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করতে পারে। বাংলাদেশ এখন ১২৯টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। কোরিয়া বাংলাদেশকে অনেকগুলো পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সে সকল পণ্য রপ্তানি সন্তোষজনক নয়।’

শোকেস কোরিয়া-২০১৮তে কোরিয়ার ২০টি এবং বাংলাদেশের ১৩টি মিলে মোট ৩৩টি কোম্পানির ১০০টি  স্টল রয়েছে। প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস পণ্য, গাড়ি, সিরামিক, পেপার ও কসমেটিক্স। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। আগামী বছর এ মেলা কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।

কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং ইল, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, কোরিয়া ইপিজেডের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদাত, এলজি ইলেক্ট্রনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডং কন সন এবং শোকেস কোরিয়ার অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন খান।