কুড়িগ্রামে করা মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন

Looks like you've blocked notifications!
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

টেলিভিশনের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলার অভিযোগে কুড়িগ্রামে করা মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিকেলে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে গতকাল ২১ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা  করা হয়। জেলার অ্যাডভোকেট মাকসুদা বেগম বেবি বাদী হয়ে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৪/৫০৫ ও ৫০৯ ধারায় মানহানির মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেন। সমনে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আগামী ২২ নভেম্বর আমলি আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টিভির ‘একাত্তর জার্নাল’ টকশোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্য দেন, যা সমগ্র নারীসমাজের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। তাঁর বক্তব্য মানহানিকর। তাই এ মামলায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

এর আগে ব্যারিস্টার মইনুলের একই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত ২১ অক্টোবর ঢাকায় এবং জামালপুরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মামলা দুটিতে হাইকোর্ট থেকে গতকাল আগাম জামিন পেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।