এলিস জি ওয়েলস বললেন

বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক প্রিন্সিপাল উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস জি ওয়েলস আজ সোমবার বিকেলে হোটেল রেডিসনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক প্রিন্সিপাল উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস জি ওয়েলস বলেছেন, সব দল সমানভাবে যেন নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ পায় সেই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।

আজ সোমবার বিকেলে হোটেল রেডিসনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও উদ্বেগ জানান এলিস। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তাঁর দেশের পক্ষ থেকে অব্যাহত চাপ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এলিস বলেন, এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাফল্যকে এগিয়ে নিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সেই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি।

এলিস জি ওয়েলস বলেন, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। এখন যা ঘটছে এবং ভোটের দিনে যা হবে তা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যেন তাদের কথা ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরার সুযোগ পেতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এটা কোনো একটি দল, জোট বা রাজনীতিবিদকে সমর্থন করা নয়, আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা বলছি।  

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে এলিস  বলেন, তারা যেন নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরতে পারে সেলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সার্বিক সহযোগিতা দেবে। এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান এলিস।

এলিস বলেন, ‘আইনটি সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ আছে। এ নিয়ে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ জানানো হয়েছে। তাদের সাথে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে আইনটি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান রাজনৈতিক এবং তা মিয়ানমারের হাতে। আমরা মিয়ানমারের সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়ে যাব।

আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এলিস।