পথের ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরা
পবিত্র ঈদুল আজহা কাল। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ির পথে চলেছেন মানুষ। কিন্তু পথে পথে নানা বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ বাড়ি ফেরার আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে। রাজধানী থেকে উত্তরবঙ্গগামী লোকজনকে সাভারে ও আশুলিয়ায় দীর্ঘ সময় যানজটের পড়ে থাকতে হচ্ছে। এখানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে উলাইল গরুর হাটের কারণে গতকাল বুধবার রাত থেকেই সড়কের হেমায়েতপুর থেকে সৃষ্টি হয় যানজটের। এ ছাড়া সাভার বাজার ও নবীনগর বাসস্ট্যান্ড হয়ে মহাসড়কের চন্দ্রা অংশে উঠতেই দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের কবলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
যানজটের কারণে গত রাতে গাবতলীতে পৌঁছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের অনেকেই এখনো আটকে আছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে। একই কারণে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের অনেকেই এখনো পাটুরিয়া ঘাট পার হতে পারেননি।
টাঙ্গাইলে যাত্রীবাহী বাস ও কোরবানির পশুবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের প্রভাবে চন্দ্রা অভিমুখে যান চলাচল রাত থেকেই কার্যত অচল হয়ে পড়ে। থেমে থেমে বৃষ্টি পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলছে। বিশেষত, যাঁরা বাসের ছাদে কিংবা পশুর ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন, তাঁদের অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, চন্দ্রায় যানজটের প্রভাবেই আশুলিয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাভারে সড়কের ওপর পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাভার পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে, মহাসড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং কয়েক স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কেও একই রকম যানজট রয়েছে। এ কারণে যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। মহাসড়কের এই যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পশু ব্যবসায়ী ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা, বিশেষত নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।
এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও ঘরমুখো মানুষ বহনকারী যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। ফলে এ সড়কেও থেমে থেমে এগোচ্ছে পরিবহনের সারি।