সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দাবি

ঐক্যফ্রন্টের কারণেই মইনুলকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে

Looks like you've blocked notifications!

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকট জয়নুল আবেদীন দাবি করেছেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিধায় রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। অনতিবিলম্বে আমরা তাঁর মুক্তি দাবি করছি।’

আজ বুধবার দুপুরে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন এ দাবি করেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একসময় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ওই সময় বাকশাল তৈরি করার প্রতিবাদে একমাত্র তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে যেভাবে প্রশ্ন করতে হয়, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সে ভাষায় প্রশ্ন করেননি; বরং আক্রমণাত্মক ভাষায় অসম্মানজনকভাবে প্রশ্ন করেছেন। এতে করে তিনি অসম্মানবোধ মনে করেছেন। একজন আইনজীবীদের নেতা হিসেবে আমরা সব আইনজীবীও অসম্মানবোধ করছি।’

 ‘এরপরও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন মাসুদা ভাট্টির কাছে। কিন্তু মানহানির অভিযোগ এনে মাসুদা ভাট্টি মামলা করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০০ ধারায় এসব মামলা আদালত জামিন দিতে বাধ্য; বরং জামিন না দেওয়া অপরাধ। এ ছাড়া একই ঘটনায় একাধিক মামলা করার আইন নেই; তবু করা হচ্ছে। এ বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে যুবলীগের নেত্রীরা সারা দেশে মামলা করছেন। কারণ, এ দলের লোকেরা সংবিধান মানে না, আইন মানে না। এসব মামলা জামিনযোগ্য, কিন্তু আাদলত তাঁকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক। আমরা অনতিবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করছি,’ যোগ করেন জয়নুল আবেদীন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁকে জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুড়িগ্রামে একটি করে এবং কুমিল্লায় দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ঢাকা, জামালপুর ও কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।