বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার আশ্বাস চীনের

Looks like you've blocked notifications!
চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাও কেঝির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশের  নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাও কেঝি। সময়ের অভাবে কোনো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে না পারলে, চীন সরকার এই ভিসা দেবে।

আজ শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাও কেঝির সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানেই এই আশ্বাস দেওয়া হয়।  

চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিন দিনের বাংলাদেশ সফরের আজ দ্বিতীয় দিনে সচিবালয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। পরে চীনের ২৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। সভা শেষে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল  চীনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন আশ্বাসের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের কাউন্টার টেররিজম এবং আমরা যে সমস্ত ইকুইপমেন্ট, আমাদের পুলিশ যেগুলো ফেস করতেছে, যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো তারা সহযোগিতা করবে। সকল নাগরিককে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার কথা বলে গেছেন। আমাদের ট্যুরিস্ট, আমাদের ব্যবসায়ী যদি সময়ের অভাবে ভিসা না নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে সেখানে গেলে তারা অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেবেন।’

এ বিষয়ে শিগগিরই চীনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তবে চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

এ ছাড়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতেও সহায়তার আশ্বাস জানিয়েছে চীন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কথা হয়েছে, মিয়ানমার সিটিজেনদের কত তাড়াতাড়ি নিয়ে যাবে। রিকোয়েস্ট করেছি, তাঁরা যেন একটা ভূমিকা রাখে। এবং তাঁরা আমাদের সঙ্গে এগ্রি করেছেন। তাঁরা মনে করেন, এরা খুব শিগগিরই ফিরে যাবে। এবং তাঁরা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছেন। বাংলাদেশ যে অসুবিধায় পড়েছে, তাঁরা ফিল করছেন।’

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে চীনের সঙ্গে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও সাইবার ক্রাইম দমন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সহযোগিতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং পুলিশের জন্য সরঞ্জাম সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগকারীসহ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামীতে তাঁর দেশ বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করবে বলেও আশ্বাস জানান তিনি।