ভোটে সীমিত আকারে ইভিএম চালু হবে : সিইসি

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার দুপুরে খুলনার জিয়া হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন কে এম নুরুল হুদা। ছবি : এনটিভি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘এই ইভিএম পদ্ধতি পৃথিবীর বহু দেশে আছে। বহু দেশে এই নিয়ে বিতর্ক হইছে এবং আমাদের দেশে এটা চালু হবে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় সার্থক হবে।’

আজ খুলনায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান বলেন, ‘যদি আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারি। যদি বললাম এ কারণে, এখন পর্যন্ত আমাদের আইনি ভিত্তি হয়নি। আইন হবে, তারপর ব্যবহার করা যাবে। যদি আইন হয়, তাহলে আমরা সীমিত আকারে, যতটুকু আমরা পারব ততটুকু জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে এবং যেখানে হবে ব্যাপকভাবে এর প্রস্তুতি সকলকে বুঝানো হবে।’     

এ সময় সিইসি আরো বলেন, ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্যই এটা করা হবে।

আজ শনিবার দুপুরে খুলনার জিয়া হল (পাবলিক হল) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কে এম নূরুল হুদা এসব কথা বলেন।

তবে এ নিয়ে আজও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জনগণের সব মতামতকে উপেক্ষা করে ভোট কারচুপির জন্য সরকারি হুকুমে ইভিএম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হবে। এ জন্য দেশের আটটি অঞ্চলে ইভিএম মেলা করতে যাচ্ছে ইসি। বিশ্বের দেশে দেশে প্রত্যাখাত ও বির্তকিত ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিএনপি এসব ইভিএম মেলার প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করছে।’

তবে সিইসি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘রাজশাহীতে নির্বাচনে ক্রুটি হওয়ার পরে আর ইভিএমের ব্যবহার হয়নি। আমরা যখন কাগজে-কলমে ভোট দেই, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট দেই, তখন কি এরকম বিশৃঙ্খল ব্যবস্থা হয় না? তার কারণে নির্বাচন কোথাও কোথাও বন্ধ করার দরকার হয় না? আবার পুনরায় ভোট চালু করার দরকার হয় না? হয়।’

‘আমি অনুরোধ করব, যারা এখনো ইভিএমের ব্যাপারে বিরোধিতা করেন, তাঁরা আসুন। দয়া করে দেখুন। ভালোভাবে বুঝুন। তারপর যদি আপনাদের বক্তব্য থাকে, প্রশ্ন থাকে তাহলে সেগুলো আমরা গ্রহণ করব। ইভিএম ভোটারদের ওপর জোর করে চাপিয়ে দিতে চাই না।’

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের  জবাবে সিইসি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি নাকচ করে দেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আর  আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘তবে যেহেতু পূর্বে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার  কমিশন আলোচনা করে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইভিএম প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন বিষয়ে ভোটারদের অবহিত করেন মো. আশরাফ হোসেন। এতে আরো বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ, পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী প্রমুখ।