অভিযোগ প্রমাণ হলে খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটির অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

আজ সোমবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত প্রাঙ্গণে দুদকের আইনজীবী গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

আইনজীবী জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুসারে মামলা করা হয়েছে। সে আইনে অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন তিনি।

এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলামও একই তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।