পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলায় স্ত্রীকে গলা কেটে গুম

Looks like you've blocked notifications!
স্ত্রী সুমি ইসলামকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার জাহিদ হোসেন রাজু ও হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা। ছবি : ইউএনবি

মোবাইল ফোনে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে সুমি ইসলাম (২০) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী জাহিদ হোসেন রাজু (৩৭)।

হত্যার পর সুমির মস্তক বিচ্ছিন্ন মরদেহ বস্তায় ভরে নালায় ফেলা হয় এবং খণ্ডিত মস্তক ফেলা হয় ঘটনাস্থল থেকে তিন-চার কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন ছোটপোল এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ অক্টোবর রাতে।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে এটি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ওই নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর অনুসন্ধানে নামে এবং সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে স্বামী জাহিদ হোসেন রাজুকে আটক করে। আটক রাজুর বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে।

রাজুর স্বীকারোক্তিতে ওই দিনই চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বেপারীপাড়ার পইট্টা দীঘির পশ্চিমপাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় সুমির খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয় বলে জানান হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এ এম বদরুল কবীর।

কবীর জানান, জাহিদ হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আবদুল জলিল ও ফেরদৌসী নামের আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজুর বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাঁর স্ত্রী সুমি ইসলাম প্রায়ই বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলত। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। তারই জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজু তাঁর পরিচিত আবদুল জলিল ও ফেরদৌসীকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সুমি ইসলামকে প্রথমে নাইলনের রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে গলা কেটে হত্যা করে। ধারালো ছোরা দিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং লাশ গোপন করার জন্য ডবলমুরিং থানাধীন বেপারীপাড়ার পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্যে মস্তকটি ফেলে দেওয়া হয়। পরে মস্তকবিহীন দেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে বস্তার মুখ রশি দিয়ে বেঁধে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলাম মিয়া ব্রিকফিল্ডের ৩ নম্বর রোডে খানসাহেব ও জাবেদের বাড়ির মাঝখানে নালার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।