জিয়াউলকে ফাঁসানো হয়েছে, দাবি পরিবারের
নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করে খাগড়াছড়ির গুইমারা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল করিম তারেককে গ্রেপ্তার করিয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। তাঁরা আজ সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিয়াউলের মা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নেছারা বেগম, বড় ভাই চকরিয়ার লক্কারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় গত বুধবার চট্টগ্রামের সদরঘাটে আঞ্চলিক খাদ্য অফিস থেকে জিয়াউল করিমকে গ্রেপ্তার করে খুলশী থানার পুলিশ।
আজ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির নির্বাচনে জিয়াউল করিম তারেক সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ফখরুল ইসলাম। নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই প্রতিশোধ নিতে জিয়াউলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করেন ফখরুল ইসলাম। এর অংশ হিসেবেই জিয়াউলকে নাশকতার মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসাধু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক ফখরুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জিয়াউলের পরিবার কীভাবে এ রকম একটি মিথ্যাচার করতে পারল?’ তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে বলেন, ‘নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছি, জিয়াউলদের পরিষদ নির্বাচন বয়কট করেছিল।’
ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউলকে আইনগত সহায়তা করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে চলমান আতঙ্কের পরিবেশ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা দেওয়ার কথাও আছে ওই স্মারকলিপিতে।’