জেএসসি দিতে গিয়ে বুক ভাসিয়ে বাড়ি ফিরল খাদিজা

Looks like you've blocked notifications!
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে খাদিজা আক্তার। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি খাদিজা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার জেএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে কেঁদে বুক ভাসিয়ে বাড়ি ফিরে খাদিজা। চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

খাদিজা আক্তার চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের জহিরুল ইসলামের মেয়ে। সে চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

খাদিজা জানায়, নির্ধারিত সময়েই ফরম পূরণ করে সে। কিন্তু তাকে প্রবেশপত্র দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার দিন আজ সকাল ৯টায়ও বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রবেশপত্র চায়। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রবেশপত্র দিতে পারেনি। পরে জানা যায় তার ফরমই পূরণ হয়নি। এ কথা জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।

খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান দিতে পারেনি। এরপর তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এস এম জাকারিয়ার শরণাপন্ন হন। কিন্তু তাতেও সমাধান মেলেনি।

খাদিজা আরো জানায়, ফরম পূরণের সময় সে ও তার এক সহপাঠী মিলে  বিদ্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী সাইফুদ্দিনের কাছে টাকা জমা দেয়। তাদের মধ্যে একজনের ফরম পূরণ হয় ও প্রবেশপত্রও আসে। কিন্তু আসেনি খাদিজার প্রবেশপত্র।

বিদ্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যেকোনো শিক্ষার্থীর টাকা জমা নেওয়ার পরই রশিদ দেই। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর টাকা জমা হয়নি।’

ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমিতা দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলছে সে নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করেছে। কিন্তু ফরম পূরণের টাকা জমা দেওয়ার রশিদ দেখাতে পারছে না। তাহলে তার ফরম পূরণ হয় কি করে? এ ছাড়া সে যদি দুই একদিন আগে এসেও যোগাযোগ করত তাহলে আমরা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে যেকোনো একটা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’

ইউএনও এস এম জাকারিয়া বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মূলত তার ফরমই পূরণ হয়নি।’