ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেলপথের বাইপাস কার্যক্রম বন্ধের দাবি

Looks like you've blocked notifications!
তিন দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। ছবি : এনটিভি

ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেলপথের বাইপাস কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভৈরব নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে তারা সরকার ঘোষিত ভৈরবকে ৬৫তম জেলার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর জয়ন্তিকা ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতিসহ আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।

দাবি আদায়ে গতকাল শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। এতে সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করে।

সমাবেশে তিনটি দাবি উল্লেখ করে বক্তারা তিনদিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, তাদের উত্থাপিত এসব দাবি না মানলে তিনদিন পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভৈরব নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মো. মাহফুজুর রহমান, রাসেল আহমেদ, মেহেদী হাসান রিয়াদ, রাফিজুল হাসান সানজিব, মো. রিয়াদ, ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ আবদুল্লাহ আল মামুন, চেম্বার পরিচালক জাহিদুল হক জাভেদ, ভৈরব রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম তাজভৈরবী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন, ভৈরব জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান ফারুক, ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। পরবর্তী সময়ে জেলা বাস্তবায়নে নানা কার্যক্রম শুরু হয় স্থানীয়ভাবে। কিন্তু কিশোরগঞ্জ সদরের কিছু লোকের অখণ্ডতার দাবিতে ভৈরব জেলার বিরোধিতার কারণে জেলা বাস্তবায়নের কাজটি আর এগোয়নি।

এদিকে গত ১২ আগস্ট দেশের ২৭১টি বেসরকারি কলেজ সরকারীকরণ হলেও, ভৈরবের শত বছরের পুরোনো হাজী আসমত কলেজটি সরকারি হয়নি। সেই সময় স্থানীয়ভাবে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে কলেজটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। কিন্তু সেটিও অদৃশ্য কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্তে কিশোরগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে।

অপরদিকে শত বছরের পুরোনো দেশের অন্যতম রেলওয়ে জংশনকে বাইপাস করে কিশোরগঞ্জ সদরবাসীর সুবিধার্থে সম্প্রতি রেলওয়ের বাইপাস রেলপথের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, স্বপ্নভঙ্গের তাড়নায় ভৈরববাসীর পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আন্দোলন ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। তাই তারা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন। এই আন্দোলন চলবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত।