পুলিশ জানত অপহরণ, পরে জানতে পারে বিয়ে করেছে

Looks like you've blocked notifications!
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম আজ বৃহস্পতিবার মনিকা বড়ুয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামে সাত মাস আগে নিখোঁজ এক স্কুলশিক্ষককে সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া চট্টগ্রামের লিটল জুয়েল স্কুলের শিক্ষক মনিকা বড়ুয়া ও আটক ভারতীয় নাগরিক কমলেশ মল্লিককে (৩৫) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে হাজির করা হয়।

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা জানতাম গত ১২ এপ্রিল স্কুলশিক্ষক মনিকা বড়ুয়া লালখান বাজার থেকে অপহৃত হন। ওই দিনই তাঁকে যশোর বেনাপোল হয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর পাই আমরা।’

আমেনা বেগম আরো বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিক ও ব্যবসায়ী কমলেশ মল্লিককে গ্রেপ্তার করার পর আমরা জানতে পারি, মনিকা বড়ুয়ার সঙ্গে কমলেশের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মনিকা ভারতে চলে যান।

আমরা গত সাত মাস ধরে কমলেশের সন্ধানে ছিলাম। তিনি কবে কখন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এবং গেছেন সবকিছুর খবরই আমরা পাই। গত ৩ নভেম্বর আমরা জানতে পারি, কমলেশ ঢাকায় এসেছেন। পরে আমরা কমলেশকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারের পর কমলেশ স্বীকার করেন, বর্তমানে মনিকা বড়ুয়া ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাঁর স্ত্রী হিসেবে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।

এরপর এডিসি কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমাদের ডিবি টিম সাতক্ষীরা বর্ডারে গিয়ে মনিকাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। আজকে তারা দুজনই আমাদের এখানে আছেন। তবে আগে এটি ছিল অপহরণের মামলা। এখন আমাদের মূল দায়িত্ব হবে মনিকাকে আদালতে উপস্থাপন করা।’ বলছিলেন আমেনা বেগম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনিকা বড়ুয়া ভারতীয় নাগরিক কমলেশ মল্লিককে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছেন। নতুন নাম রেখেছেন অনামিকা মল্লিক। স্বামী হিসেবে কমলেশ মল্লিক উল্লেখ থাকলেও কোথাও রেজিস্ট্রি করা হয়নি।

সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার কামরুজ্জামান জানান, মনিকার বড় মেয়ে ও পরিবারের জানা ছিল, তারা কোথায় আছেন। তারপরও তারা খুলশী থানায় অপহরণের মামলা করেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেন তারা।