জোটের প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের লুকোচুরি

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ অন্যরা আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য সংক্রান্ত চিঠি দেন। ছবি : এনটিভি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে হলে আজ রোববারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল। ফলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কোন কোন দলকে ‘নৌকা প্রতীক’ দেবে তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে তারা। কিন্তু গণমাধ্যমের সামনে তারা ওই তালিকা না দিয়ে লুকোচুরি করেছে।

আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য সংক্রান্ত চিঠি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তবে আওয়ামী লীগ কোন কোন দলকে নৌকা প্রতীক দেবে এই তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হননি নওফেল। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। এটা রাজনৈতিক দল এবং ইসি, এই দুই পক্ষের মধ্যেই এটা সীমিত আছে। নির্বাচন কমিশনের যে নির্ধারিত প্রক্রিয়া আছে সেই প্রক্রিয়ায় আপনারা জেনে নেবেন। কেননা, আমাদের কোনো অথরিটি নেই এই তথ্য প্রকাশ করার।’

এ ছাড়া আইন অনুযায়ী, আবেদন করে নির্বাচন কমিশন থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করার কথাও সাংবাদিকদের জানান নওফেল।

নওফেল বলেন, ‘জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে আমরা বাধ্য। আমাদের সাথে যারা যারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে বা আওয়ামী লীগ যাদের নৌকা প্রতীক দেবে, তাদের একটি তালিকা আমরা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি।’

কেন দলগুলোর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, কাদের নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে, সেই দলগুলোর নাম প্রকাশ না করা আমাদের রাজনৈতিক কৌশলের একটি অংশ। তবে কাদের নিয়ে আমরা নির্বাচন করব, তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।

জোটে দলের সংখ্যা বাড়ল না কমল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, এই মুহূর্তে মন্তব্য করাটা সমীচীন হবে না।

জাতীয় পার্টি জোটে আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নওফেল  বলেন, আমি বলেছি ইতিমধ্যে, যেহেতু এটি একটি কনফিডেন্টশিয়াল (গোপনীয়) তথ্য এবং আইন অনুসারে সেটি আমরা জমা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। যেহেতু আইনের বিষয় আছে, সেহেতু এই মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করে আইনের ব্যত্যয় করব না।

গত ৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচনে কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিতে চাইলে, তিনদিনের মধ্যে জানাতে হবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাসদ নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে এবং তাদের তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছে।  

গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। তিনি জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। ২৩ ডিসেম্বর রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।