রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি হয়নি : যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মন্ত্রী রিচার্ড আলব্রাইট। ছবি : এনটিভি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা ও এশিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী রিচার্ড অলব্রাইট বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইনে আরো উন্নত পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন এবং রাখাইনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে অবাধে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে।

রোববার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পাশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিচার্ড অলব্রাইট।

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মন্ত্রী রিচার্ড অলব্রাইট বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনো সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়নি। সেখানে এখনো জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার নেই। সেটি অবশ্যই তৈরি করতে হবে।’ তিনি এসব বিষয়গুলো বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান।

এর আগে এই মার্কিন মন্ত্রী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা। এ সময় তারা নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ডেরিক ব্রাউনসহ শিবিরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডেরিক ব্রাউন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও শিক্ষাখাতে সহায়তা করতে কাজ করছে ইউএসএআইডি।’

এর আগে প্রতিনিধিদলটি সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করে।

এদিকে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্রেনার আজ দ্বিতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। সকালে তিনি ইউএনএইচসিআরের ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। পরে দুপুরে তিনি কুতুপালং ও বালুখালীর রোহিঙ্গ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তবে তিনি এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।