‘উনি দেশের উন্নয়ন চান না, কোনো কনফিউশন নাই’
হরতাল-অবরোধের কারণে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ জন্য তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দায়ী করেছেন।
অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘আমি একেবারে স্থির নিশ্চিত উনি (খালেদা জিয়া) এ দেশের উন্নয়ন চান না। এ ব্যাপারে আমার কোনো কনফিউশন এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাই বলতে।’
আজ শুক্রবার সকালে সিলেটের মদনমোহন কলেজে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এই অভিযোগ করেন।
২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ওই সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বলেন। তিনি বলেন, “সমাধানের একটা সহজ পথ আছে। সেটা হবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহের ব্যাপার। সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া তাঁর এই একটা অপপ্রচেষ্টা (অবরোধ-হরতাল) সেটা বন্ধ করতে পারেন। এটা একান্তই অপপ্রচেষ্টা। তিনিও জানেন, এটার প্রতি কোনো সমর্থন কারো নেই। তাঁর কোনো নেতা-নেত্রী এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এটা একান্তই একটা সন্ত্রাসী উদ্যোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা হলো সবচেয়ে সহজ উপায়। তিনি (খালেদা জিয়া) বলতে পারেন যে ওয়েল, ‘আপনারা যথেষ্ট আন্দোলন করেছেন, যেহেতু এটা জনজীবনকে কষ্টকর করে তুলছে, আমরা এটা উইথড্র (প্রত্যাহার) করলাম।’ এবং আরো ভালো হয় তিনি যদি বলেন সেটা। বলবেন না বলেই আমার মনে হয়। তিনি বলতে পারতেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এটা আমি উঠিয়ে নিলাম।’ আমি একেবারে স্থির নিশ্চিত উনি এ দেশের উন্নয়ন চান না। এ ব্যাপারে আমার কোনো কনফিউশন এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাই বলতে।”
হরতাল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বহুদিন ধরে একটা আলোচিত বিষয়। ১০-১৫ বছর ধরে এটা আলোচিত হচ্ছে। ১৫ না, ২০ বছর ধরে এটা আলোচিত হচ্ছে। হরতাল এখন আর প্রতিবাদের ভাষা নয়। হরতাল হিংস্রতার ভাষা। এ জন্য হরতালকে ব্যান করা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং যথেষ্ট দায়িত্বশীল। আমি এটা পুরোপুরিভাবে সমর্থন করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আজ-কাল, পরশু হরতালকে বেআইনি করার সিদ্ধান্ত পাব।’
টানা অবরোধের কারণে জিডিপিতে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘অফকোর্স, আমি তো বলেছি। আমি আশা করেছিলাম, এ বছর সাত শতাংশ উন্নয়নে আমরা যাব। কিন্তু সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ এই মুহূর্তে আছে। এবং এর একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া।’