নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো নারী-পুরুষ সমতায় অগ্রগতি। এ ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারতের অনেক কিছু শেখার আছে। 

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত অর্থনৈতিক প্রগতি ও মানবিক প্রগতি শীর্ষক এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অমর্ত্য সেন এসব কথা বলেন। 

বক্তৃতাটি ছিল উন্মুক্ত। অমর্ত্য সেন আসার আগেই দেড় হাজার আসনবিশিষ্ট আধুনিক মিলনায়তনটি পূর্ণ হয়ে যায়। বক্তৃতা শুনতে আসা মানুষের ঢল দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ঢাকায় জন্ম নেওয়া ভারতের নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। 

নিজের লেখা ‘ভারত : উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ বইটি সম্পর্কে অমর্ত্য সেন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আয়ুর মতো মানবিক উন্নয়নগুলো না হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মানুষের কোনো কাজে লাগে না। 

অমর্ত্য সেন বলেন, মানবিক প্রগতি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। আর মানবিক প্রগতি ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন বঞ্চনার সৃষ্টি করে। ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারলেও মানবিক উন্নয়নে এখনো পিছিয়ে। 

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বাণিজ্যিকীকরণ বিষয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সরকারেরই উচিত। বেসরকারিভাবে তা সবার জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের কাছ থেকে ১৫টির বেশি প্রশ্নের উত্তর দেন অমর্ত্য সেন। অর্থনীতির কঠিন সব কথার জবাব দেন স্বভাবসুলভ হাস্যরসে।