বাকপ্রতিবন্ধী ফারজানা হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হকের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে ফারজানা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ফারজানা আক্তার (৫) হত্যার প্রধান আসামি শফিকুলকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শফিকুল ফারজানা হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সভা কক্ষে পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানান।

পুলিশ সুপারের ভাষ্য, গত শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী মন্তুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ফারজানা। বাড়িতে ফিরে না আসায় বাবা ফজলুল হক দুপুর ১২টায় বিয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে শুক্রবার রাত ৯টায় প্রতিবেশী আবদুস সামাদের বাঁশঝাড়ে গলায় লুঙ্গি ও দড়ি পেচানো রক্তাক্ত অবস্থায় ফারজানার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন শনিবার পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ফারজানার লাশ উদ্ধারের রাতেই ভালুকা থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা ফজলুল হক। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ও ভালুকা মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বাদীর প্রতিবেশী শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ফারজানা হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত স্বীকার করেন শফিকুল। তাঁর দেওয়া তথ্য মতে শফিকুলের বাড়ি থেকে ফারজানা হত্যায় ব্যবহৃত লুঙ্গির অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফারজানার বাবা নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় ফারজানার বাবাকে ফজলুল হককে সন্দেহ করেন শফিকুল। স্বজনদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল ফজলুলের। তৃতীয়পক্ষ হিসেবে ফজলুল হকের স্বজনদের সঙ্গে যোগসাজস করে শফিকুল শিশুটিকে হত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শফিকুলকে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।