চাকরির নামে সাড়ে ১১ লাখ আদায়, ইবির কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

Looks like you've blocked notifications!

চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই কর্মকর্তা হলেন আইন ও শরিয়াহ অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার উমর আলী ও গাড়িচালক মুন্সি তারিকুল ইসলাম।

গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের এক বার্তায় জানা গেছে।

সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে উমর আলী ও তারিকুল চেকের মাধ্যমে মামুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কাছে ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করেন উপাচার্য। পরে ঘটনার সত্যতা মিলে। বর্তমানে ওই টাকা উমর আলীর অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ইবি শাখার সঞ্চয়ী হিসাবে জমা আছে। অর্থ লেনদেনের দুর্নীতির সঙ্গে তাঁদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩(ডি) ধারা অনুযায়ী তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’