কুষ্টিয়ায় তুহিন হত্যার দায়ে বাবা মা ছেলের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্র ওসমান গনি তুহিন হত্যার দায়ে বাবা, মা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।
নিহত তুহিন কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেজবার রহমান (৫৫), তাঁর স্ত্রী রঞ্জনা খাতুন (৪৮) ও ছেলে রইচ উদ্দিন (২৫)। রায় ঘোষণার সময় রইচ উদ্দিন ছাড়া বাকি দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জুন দুপুরে তুহিন তাঁর মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে কুমারখালী উপজেলার চরবানিয়াপাড়া গ্রামে নানা বাড়িতে যান। ওইদিন বিকেলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে রইচ উদ্দিন ও তাঁর মা-বাবা মিলে তুহিনের বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। ঘটনার দিন তুহিনের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, কুমারখালী থানার এই মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের অক্টোবরে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আসামিরা দোষী হওয়ায় আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।