কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

Looks like you've blocked notifications!
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়। ছবি : এনটিভি

কক্সবাজারে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন টেকনাফে ও অন্যজন কুতুবদিয়ায় নিহত হন। র‍্যাব জানিয়েছে, নিহত দুজন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং অন্যজন ‘জলদস্যু’।

নিহতদের কাছ থেকে এক লাখ ইয়াবাসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কেরুনতলী এলাকায়  মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র‍্যাবের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আশিক জাহাঙ্গীর (৩২) ও মো. আরিফ হোসেন (৩০)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি, দুটি অস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আশিক জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি এলাকার ও আরিফ হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার তল্লা বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।  নিহত আশিক জাহাঙ্গীরকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আরিফকে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৭ টেকনাফ সিপিসি-২-এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. মির্জা শাহেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা রয়েছে। এই খবরে র‍্যাব-৭-এর একটি দল সড়কের কেরুনতলীতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় ট্রাকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত র‍্যাব সদস্যরা থামানোর সংকেত দিলে তা অমান্য করে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে র‍্যাবও পাল্টা গুলি করলে একপর্যায়ে ট্রাকটি থামে। এ সময় ট্রাকটি তল্লাশি করে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি, দুটি অস্ত্র  ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করেছে র‍্যাব।

এদিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। র‍্যাব জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি একজন ‘জলদস্যু’।

নিহত ব্যক্তির নাম দিদারুল ইসলাম (৩২)। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে কুতুবদিয়া দ্বীপে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত জলদস্যু দিদারুল নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত দিদার উপজেলার লেমশীখালী কড়লা পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, নিহত দিদারের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। দিদারের কাছ থেকে ছয়টি একনলা বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, নয়টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।